কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার বাসিন্দা মো. রবিন ব্রাজিলের তারকা খেলোয়াড় নেইমারের বন্ধু। অসুস্থ মাকে দেখতে তিনি দেশে এসেছেন। তাকে একনজর দেখতে তার বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় জমায়। শুক্রবার বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের গাজিরটেক এলাকার মোল্লাবাড়ির হাজী মো.আব্দুস সাত্তারের (শিশু মিয়া) ছোট ছেলে রবিনের সঙ্গে কথা হয় যুগান্তর প্রতিনিধির। নেইমারের কাছের এই বন্ধুটি বলেন, নেইমার বাংলাদেশের নাম জানেন। এদেশে তার অসংখ্য ভক্ত আছে। এটা ইন্টারনেটে আমি নেইমারকে দেখিয়েছি।
তিনি বলেন, ব্রাজিলের জোয়ান সেনসু নামের এক ব্যক্তি আমার বন্ধু। তিনি আবার নেইমারের বন্ধু। তার মাধ্যমে নেইমারের সঙ্গে আমার পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। রবিন বলেন, বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি বা ব্র্যান্ড নেইমারের ফেসভ্যালু ব্যবহার করে তাদের ব্যবসার প্রচার ও প্রসার করতে চাই। তারা আমাদের কাছে আসে। আমরা খুঁজে বের করে পছন্দসই কোম্পানিকে প্রস্তাব পাঠাই। একাজটি আমি ও জোয়ান করি। নেইমারের পরিবারের সদস্যরা আমাকে খুব ভালবাসেন।
তিনি বলেন, আমার মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে আমি দুদিনের জন্য ভৈরবের বাড়িতে এসেছি। তার সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা আমি আমার পরিবারকে জানাইনি। একটি টিভি চ্যানেলে আমি সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর সেটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। এতেই দেশের মানুষ ও এলাকাবাসী আমার বিষয়টা জেনে গেছে। দুদিন যাবত বাড়িতে অসংখ্য লোক আমাকে দেখতে ভিড় জমিয়েছে। আমিও এতে গর্ববোধ করছি।
মো. রবিন উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ১৫ বছর আগে পাড়ি দেন ব্রাজিলে। সেখানে তিনি এগ্রিকালচার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। রবিন পরিবারের চার ভাই তিন বোনের সবার ছোট। শুক্রবার বিকালে তার বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, রবিন অসুস্থ মাকে দেখতে এসেছেন। রাতের ফ্লাইটে বিশ্বকাপ খেলা দেখতে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন। প্রতিবেশীসহ গ্রামবাসী তার এই সুনাম অর্জনের জন্য বেশ আনন্দিত এবং তারা রবিনকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন। তাকে দেখতে গ্রামবাসীরা তার বাড়িতে ভিড় করছেন।
রবিনের ভাই মো.মামুন বলেন, বড় ভাই হিসেবে আজ আমি খুব গর্ববোধ করছি। বিশ্বের এত বড় খেলোয়াড় নেইমারের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব রয়েছে। সেই খবরে বাংলাদেশে আমার ভাই রবিন বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। এতে আমরা খুব আনন্দিত। রবিন এখন শুধু ভৈরববাসীর গর্ব নয় সে সারা বাংলাদেশের গর্ব বলে আমি মনে করি।