বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকার নির্দিষ্ট করে দিলেও বাড়তি দামে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করছে। প্রয়োজনে অসাধু ব্যবসায়ীদের জেলে পাঠানো হবে।
রোববার (০৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গত নভেম্বরে চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। তারপরও বাজারে এখন ১২০ টাকা দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে। এর কারণ জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একটা কথা ঠিক বাজারে যারা ব্যবসায়ী তারা ফেরেশতা নয়। কিন্তু আমরা যে দাম নির্ধারণ করে দিই সেটায়ই বিক্রি করতে হবে বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। দাম কতো হওয়া উচিত সেটা নির্ধারণ করে দিই আমরা। তারপরও দেখি কোথাও কোথাও চিনি নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী কারসাজি করেছেন। তবে আমাদের কাগজ-পত্র বলে প্রচুর পরিমাণ চিনি রয়েছে, পাইপ লাইনেও আছে। আমাদের ভোক্তা অধিকার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে, জরিমানা করছে৷ এখন আমরা চিন্তা করছি, এর বাইরে যদি প্রয়োজন হয় জেলের ব্যবস্থা করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, চিনির দামটা যেটুকু বেশি আছে সেটা কমে আসবে। আজ কথা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে যে আসছে তাকে বলেছি চিনির ওপর ডিউটি যদি একটু কমানো যায় বা কনসিডার করা যায় তাহলে দামের ওপর প্রভাব পড়বে বা দাম কমে যাবে।
চিনি আমদানিতে অনুমোদন দেওয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি আছে। অন্য বছরের তুলনায় প্রচুর চিনি রয়েছে। আর আমদানি-তো ওপেন আছে। বাজারে যা মজুত আছে সেটা কোন অবস্থায় দেশের জন্য বিপদজনক নয়। আমরা শুধু সাধারণ মানুষ যাতে কম দামে চিনি পায় সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।