পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অর্ধশতাধিক অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বিকশিত নারী শিক্ষাবৃত্তি-২০২২ তুলে দেয় হয়। ওঠো, জাগো, শিক্ষায় গড়ো বিকশিত ভবিষ্যৎ! এই ¯েøাগানকে বুকে ধারণ করে এবং নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে স্বে”ছাব্রতী সংগঠন বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এবং উমেন এন্ডিং হাঙ্গার যৌথভাবে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেন। আমরা সকলেই জানি কোভিড-১৯ কালীন সময়ে শিক্ষাখাতটি একটি বড় ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাল্য বিয়ের হারটা অনেকাংশেই বেড়ে গেছে। দীর্ঘ দুই বছর থেকে টানা স্কুল কলেজ বন্ধ, পড়াশোনা বন্ধ হয়ে আছে। ফলে বাবা-মা এবং শিক্ষার্থীরা তাদের ভরসাটুকু হারিয়ে ফেলছে। অনেক শিক্ষার্থী হতাশায় ভুগছেন। সেই হতাশা থেকে শিক্ষার্থীদেরকে টেনে তোলার কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন এই স্বে”ছাব্রতী সংগঠনগুলো।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে মেয়েরা যাতে কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই স্বতঃস্ফূতভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাতে পারে, যাতে ভবিষতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে সেই লক্ষ্যেই ২০০৩ সাল থেকে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদাণ করা হ”েছ। এবছর স্কুল পর্যায়ে ২০ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ৩০ জনসহ মোট ৫০ জন শিক্ষার্থীকে বিকশিত নারী শিক্ষাবৃত্তি-২০২২ প্রদাণ করা হয়। শিক্ষাবৃত্তি প্রদাণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন, বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিটন, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর আনজুমান আক্তার বানু, ইয়ূথ কো অর্ডিনেটর গাজী আনিকা আসলাম, একাউন্টস কো অর্ডিনেটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মোঃ মালেকা বেগম, একাউন্টস অফিসার অনিল চন্দ্র শর্মা, বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ এর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও শবদলহাট উমেদ আলী উ”চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরেশ চন্দ্র বর্মনসহ আরো অনেকেই। স্কুল পর্যায়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৪০০ টাকা এবং কলেজ পর্যায়ের প্রতিটি শিক্ষার্থকে ৫০০ টাকা করে দুই মাসের জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীদের হাতে ৮০০ (আট শত টাকা মাত্র) ও ১০০০ (এক হাজার টাকা মাত্র) করে প্রদান করা হয়।
Source:
মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ