সাভার উপজেলার নবগঠিত আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঠাঁই দেওয়াসহ অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিতরা। মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নেয় প্রায় ১শ’ নেতাকর্মী। এ সময় বিক্ষোভ মিছিলটি মহাসড়কের বাইপাইল এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের বহিষ্কারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
সমাবেশে তারা অভিযোগ তোলেন, একাধিক বিবাহিত, হত্যা মামলার আসামি ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়ে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের কমিটি বানানো হয়েছে। যা ছাত্রলীগের পুরোপুরি বিধি লঙ্ঘনের সামিল। পাথালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ সৌরভ বলেন, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের এই কমিটিতে বিতর্কিত আছে অনেকেই, হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া। কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া একাধিকজন বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া ছাত্রলীগ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আমরা যারা ছাত্রলীগ করি তারা কষ্টে আছি। আমরা দলের প্রয়োজনে সব মিটিং-মিছিলসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেই। এভাবে বিতর্কিতদের কমিটিতে ঠাঁই দেওয়ায় আমরা কষ্ট রাখার জায়গা পাচ্ছি না। শুধু বিচার রেখে গেলাম সবার কাছে।
পাথালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিহাদ হাসান বলেন, টাকা নিয়ে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে বিতর্কিতদের ঠাঁই দিয়েছেন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এই দু’জনের বহিষ্কার চাই আমরা। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি। প্রসঙ্গত, সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ২৬ সদস্য বিশিষ্ট আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগ। সঙ্গে ইয়ারপুর ও পাথালিয়া ইউনিয়নের কমিটি বিলুপ্তসহ নতুন করে কমিটি দেওয়া হয়।