ফেনীর সোনাগাজীতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার ও দুই প্রশিক্ষক সালমা জামান এবং সালমা আক্তারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রশিক্ষণার্থীদের তোপের মুখে পড়ে অফিসে তালা লাগিয়ে অভিযুক্ত তিনজন পালিয়ে গেছেন। রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, আত্মনির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্যে দুই গ্রুপে ৫০ জন নারী মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের অধীনে তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নেন। প্রশিক্ষণকালীন তিন মাসের ভাতা নির্ধারণ করা হয় মাথাপিছু ১২ হাজার টাকা। চলতি মাসের শুরুতেই প্রশিক্ষণার্থীদের দিয়ে ওই টাকা চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস আক্তারের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়।
রোববার সকাল থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের অফিসে ডেকে মাথা পিছু এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দেন। এ সময় প্রশিক্ষণার্থীরা প্রতিবাদ শুরু করেন। এক পর্যায়ে প্রশিক্ষণার্থীদের তোপের মুখে পড়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও দুই প্রশিক্ষক অফিসের কক্ষে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। পরে ক্ষতিগ্রস্তরা নিরুপায় হয়ে প্রতিকার পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) লিখন বণিক অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি রোববার অফিসিয়াল কাজে বাইরে রয়েছেন। সোমবার অফিসে ফিরে এ বিষয়ে কথা বলবেন। উম্মে সালমা নামে এক প্রশিক্ষণার্থী বলেন, প্রশিক্ষণার্থীদের টাকা আত্মসাৎ করে তিন কর্মকর্তা তাদের তোপের মুখে পালিয়ে গেছেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।