বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগকে হটাতে অভ্যুত্থানের বিকল্প নেই মন্তব্য করে গত ১৪ বছর যাবৎ সংগ্রাম, লড়াই করছি। এবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই। আমরা যেহেতু সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাস করি না, তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় অর্জন করতে চাই। কারাবন্দি সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী সেই লড়াই-সংগ্রামটাই করেছেন। গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না, বিশিষ্ট কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজে একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানি, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম কাগজী, কারাবন্দি সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আরফান আবরার আমিন প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নিম্ন আদালতে সাত বছর সাজা দেওয়া হয় আর হাইকোর্টে পরে তা ১০ বছর করা হয়। যেই মামলার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা প্রেসক্লাবের বাইরে দাঁড়াব, আমাদের পার্টি অফিসের সামনে কথা বলব, সেটাও তারা দিচ্ছে না। রুহুল আমিনকে বেআইনিভাবে ১০ মাস আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি শুধু একজন সাংবাদিক না, একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে ১০ মাস আটক করে রাখা হয়েছে। এই আওয়ামী লীগই ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল।