আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নারী চিকিৎসকের নির্যাতন-মৃত্যু নতুন করে নারীনিগ্রহের মতো ঘটনাকে সামনে এনেছে। এরপরই নতুন করে আলোচনায় এসেছে বিনোদন দুনিয়ায় নারী কর্মীদের হেনস্তার ঘটনা। গত মাসে প্রকাশ্যে আসা হেমা কমিটির রিপোর্ট মুখোশ খুলে দিয়েছে দক্ষিণী দুনিয়ার প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) একই অভিযোগে বিদ্ধ পরিচালক অরিন্দম শীলকে সাময়িক বরখাস্ত করল ডিরেক্টর্স গিল্ড।
সংগঠনের সভাপতি সুব্রত সেন বলেছেন, সুরক্ষা বন্ধু কমিটি ঘোষণার পরই আমরা জানিয়েছিলাম, পরিচালকদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণসহ অভিযোগ এলে আমরা পদক্ষেপ করব। কয়েকদিন আগে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার এক অভিনেত্রী অভিযুক্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে নারী কমিশনের দ্বারস্থ হন।
সুব্রত আরও বলেন, নারী কমিশনের থেকে অভিযোগ আসার পরেই আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসি। সবার সম্মতিতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিচালকের বিরুদ্ধে এই বিশেষ নির্দেশ কার্যকর হবে। যেদিন তিনি ‘নির্দোষ’ শংসাপত্র পাবেন, সেদিন থেকে আবার আগের মতো কাজ শুরু করতে পারবেন, জানিয়েছেন সুব্রত। অরিন্দমের নাম উল্লেখ না করে এ-ও জানিয়েছেন, এরপরও পরিচালক যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান বা তার সঙ্গে যদি কোনও প্রযোজক কাজ করেন সেক্ষেত্রে কোনও বক্তব্য থাকবে না ডিরেক্টর্স গিল্ডের।
এ বিষয়ে অরিন্দম শীল জানান, আমাকে বলা হয়েছে, শট বোঝাতে গিয়ে আমি অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছি। কিন্তু, সেই সময়ে চিত্রগ্রাহক থেকে শুরু করে সেটের বাকি সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। তিনি শুক্রবার নারী কমিশনে গিয়ে কথা বলেছেন। তার অনিচ্ছাকৃত কোনও আচরণের জন্য অভিনেত্রী যদি অপমানিত হয়ে থাকেন, তার জন্য তিনি আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
অরিন্দম আরও বলেন, আমাকে চিঠি থেকে অনিচ্ছাকৃত শব্দটি বাদ দিতে বলা হয়েছিল। আমার সহকারী পরিচালক ও ফোটোগ্রাফার এবং সুরিন্দর ফিল্মসের সদস্যরা সাক্ষী হিসেবে আছেন। কিন্তু ডিরেক্টর্স গিল্ড আমার সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।