শনিবার (২১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডেকান হেরাল্ড।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের জাতীয় রাজধানী দিল্লির সমস্ত স্কুলকে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিশুদের শনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এমসিডি)। একইসঙ্গে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় সঠিকভাবে শনাক্তকরণ এবং যাচাইকরণ করতেও নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিএনসিটিডি’র (দিল্লি সরকার) প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির (স্বরাষ্ট্র) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এমসিডি)। ওই বৈঠকে তারা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন “প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা” বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে তাদের স্কুলে স্কুলে চিহ্নিত করাসহ তাদের জন্ম সনদ প্রদান না করার কথাও বলা হয়েছে।
এছাড়া সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড বলছে, বাংলাদেশ থেকে আসা কোনও অবৈধ অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার জন্য ভারতের জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে এমসিডি-ও তাদের এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বলে এবং তাদেরও শিক্ষার্থীদের পরিচয় সঠিকভাবে শনাক্তকরণ এবং যাচাইকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি এই জাতীয় অভিবাসীদের দখলে থাকা বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও তাদের অপসারণ করতেও বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মনোভাব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে। মূলত গত আগস্টে অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।