সংবিধান সংশোধন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পথ বন্ধ করে দেয়ায় জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরে এসেছে। এক সময় সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। এখন সেটি বন্ধ হয়েছে। জাতি ফিরে পেয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তীতে নির্মিত স্মৃতি চিরঞ্জীব স্মারক সৌধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের অর্থনীতি ও রিজার্ভের ওপর চাপ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মন্দাভাব কাটানোর চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় তা নিশ্চিত করেছে সরকার। খুনিদের বিচার করা যাবে না, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ৩৫ বছর লেগেছে বিচার পেতে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে সেই ইনডেমনিটি বাতিল করে। বিচারের পথ তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে কলঙ্কমুক্ত হয় দেশ। পাশাপশি ৭১’র যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও করতে পেরেছি। যারা মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা করেছে তাদের বিচার হওয়া জরুরি ছিল। সে বিচারও হয়েছে, ন্যায় বিচার পেয়েছে স্বজনরা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়ার কথাও এ সময় বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে হবে। তারপরও সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখছে সরকার। অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে পুনর্বাসন করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল নিয়ে আদালতে মামলার জটিলতা কমে যাচ্ছে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে।
অনলাইনে কোর্ট পরিচালনা করায় মামলা জট কমেছে বলে জানান সরকার প্রধান। আইনজীবিদের বসার সুবিধার জন্য নতুন ভবন করার কথাও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিসহ সিনিয়র আইনজীবীরা। ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট উদ্বোধনের দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই স্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে নির্মাণ করা হয়েছে এই স্মারকসৌধ।