নিয়মিত অভিযান চালালেও অবৈধ অভিবাসীদের বিরাট অংশ রয়ে গেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সাধারণ ক্ষমার আওতায় স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে এক বছর সুযোগ দিচ্ছে দেশটি।
শুক্রবার (১৬ মে) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এ ঘোষণা দেন।
প্রত্যাবাসনের এ কর্মসূচির মাধ্যমে জেল বা বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়াই নিজ নিজ দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন অবৈধ প্রবাসীরা। তবে অপরাধের ধরন অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিতে হবে কারো কারো।
চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হয়ে এ সুযোগ থাকবে আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল গণমাধ্যমে বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সীদের কাছ থেকে জরিমানা নেওয়া হবে না। তবে বিশেষ পাসের জন্য ২০ রিঙ্গিত পরিশোধ করতে হবে। এর আগে এ ধরনের কর্মসূচিতে নিবন্ধন করে যারা মালয়েশিয়া ত্যাগ করেননি তারা এই সুযোগ পাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন দেশের ২০ থেকে ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসী আছে বলে মনে করছে অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা এশিয়ার ২০টি দেশের আঞ্চলিক সংগঠন ক্যারাম এশিয়া। তবে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীর সঠিক কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমবিভাগ বলছে, এটি কয়েক হাজার হতে পারে। যদিও এটি নাকচ করে দিয়েছেন অভিবাসন খাতে কাজ করা দেশের উন্নয়ন সংস্থা ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, দেড় থেকে দুই লাখ অবৈধ অভিবাসী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দেশটিতে।
বিমানবন্দর, বাংলাদেশ পুলিশ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক দশকে মালয়েশিয়া থেকে ৮০ হাজারের বেশি কর্মী শূন্য হাতে দেশে ফিরে এসেছেন। গত ৬ মাসে ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে ফিরেছেন প্রায় আড়াই হাজার অভিবাসী।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বৈধভাবে কাজ নিয়ে মালয়েশিয়া গেছেন সাড়ে ১০ লাখ বাংলাদেশি। নানা অনিয়মের কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ শ্রমবাজারটি বন্ধ আছে। যা খুলতে কাজ করছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিতুন ইসমাইলের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন তিনি।