১২ মিনিটের ব্যবধানে তিন বার সৌদি আরবের জালে বল ঢুকিয়েছিলেন মেসিরা। কিন্তু সবগুলো গোলই বাতিল হয়ে যায়। কারণ অফসাইডের ফাঁদে পা দিয়েছেন স্ট্রাইকাররা। একই চিত্র দেখা গেছে ডেনমার্ক-তিউনিশিয়া ম্যাচে। দু’দলেরই একটি করে গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডে।
কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই ১০টি অফসাইড করেছে আর্জেন্টিনা। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে পুরো প্রতিযোগিতায় ৬ বার অফসাইডের জালে জড়িয়েছিলেন মেসিরা। অর্থাৎ, শুধু গোলের ক্ষেত্রে নয়, ম্যাচে সাধারণ অফসাইডও বেশি চোখে পড়ছে। তার বড় একটা কারণ প্রযুক্তির উন্নতি।
ফিফা জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ কম দিতে চান তারা। সেজন্য সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফুটবলে বসানো থাকছে চিপ। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তে তথ্য চলে যাচ্ছে দায়িত্ব থাকা কর্মীর কাছে। বিশ্বকাপের আগে লাইন্সম্যানদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যাতে অফসাইডের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকতে পারেন তারা।
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ম্যাচের ২২ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। জালে বল জড়ান মেসি। কিন্তু লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তোলেন। পাঁচ মিনিট পরে আরো এক বার জালে বল জড়ায় আর্জেন্টিনা। এবার গোল করেন মার্তিনেজ। প্রথমে গোল দিয়ে দেন রেফারি। কিন্তু পরে ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন মার্তিনেজ। তাই গোল বাতিল হয়। ৩৪ মিনিটের মাথায় মেসির পাস থেকে আবার গোল করেন মার্তিনেজ। কিন্তু সেটিও অফসাইডের কারণে বাতিল করেন রেফারি।
পরের ম্যাচে ২৪ মিনিটের মাথায় ডেনমার্কের জালে বল জড়ান তিউনিশিয়ার জাবেলি। কিন্তু তার গোল অফসাইডে বাতিল হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটের মাথায় ডেনমার্কের হয়ে গোল করেন ওলসেন। কিন্তু সেটিও বাতিল হয় অফসাইডে।
এ বারের বিশ্বকাপে কোনো ফুটবলার অফসাইডে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে পতাকা তুলছেন না লাইন্সম্যান। ফুটবলার বল নিয়ে কী করছেন তা দেখার পরে নিজের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন। অর্থাৎ অফসাইডে থাকার পরে কোনো স্ট্রাইকার গোলের দিকে এগিয়ে গেলেও লাইন্সম্যান পতাকা তুলছেন না। সেখান থেকে গোল হচ্ছে কি না দেখছেন। তার পরে সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন।