তবে আশা জাগানিয়া খবর হলো চোখ মেলে তাকিয়েছেন বিশ্বজিৎপুত্র নিবিড়। সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বজিৎ নিজেই দিয়েছেন এ তথ্য। তিনি বলেন, ‘শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু কবে যে পুরোপুরি সুস্থ হবে, তা বলা মুশকিল। এখনও হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আমি কানাডায় যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে রিহ্যাবে নেওয়া হবে।’
ছেলেকে নিয়ে গায়কের ভাষ্য, ‘এত মাস তো হাসপাতালের বিছানায় শোয়া ছিল। এখন নিবিড়কে তুলে চেয়ারে বসানো যায়। ঘাড় ঘোরায় সে। হাত-পা ফ্লেক্সিবল হয়েছে আরকি। এত লম্বা সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে হাত–পা সব অসাড় হয়ে গিয়েছিল। মাস দুয়েক ধরে চেয়ারে তুলে বসানো হচ্ছে। সবকিছু আস্তে আস্তে হচ্ছে, খুবই ধীরে ধীরে। খাবার এখনো কৃত্রিম উপায়ে খাওয়ানো হচ্ছে।’
বিশ্বজিৎ মুখিয়ে আছেন ছেলের মুখ থেকে বাবা ডাক শুনতে। তিনি বলেন, ‘নিবিড়ের এক্সপ্রেশনে দেখে মনে হয়, বাবা-মাকে চিনছে। আমাদের চেনে। অনেক সময় তাকানো, ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘোরা। এরপর যখন বলা হয়, “বাবা আসছে, মা আসছে”, তখন বোঝা যায়, আমাদের চেনে। মা যখন বলে, “আমাদের চিনতে পারো?” তখন তার এক্সপ্রেশনে বুঝতে পারি, হয়তো চিনছে। অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ (ওপিপি) জানিয়েছিল, টরেন্টোর হাইওয়ে ৪২৭–এর দুনদাস স্ট্রিট ওয়েস্টে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ সময় গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি থেকে চারজনকে উদ্ধার করেন। গাড়ির পেছনের সিটে বসা দুজনকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়। সামনের সিটে বসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হলে সেখানে তিনি মারা যান।