এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টা পার হলেও অপহৃতদের এখনো সন্ধান মেলেনি। তাদের উদ্ধারে গতকাল থেকে কাজ করছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। এরমধ্যে একজন ফরেস্টারও রয়েছেন। রাতে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করছেন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা।
অপহৃতরা হলেন— ফরেস্টার সাইফুল ইসলাম (২২), সৈয়দ (৫০), রফিক, আইয়ুব খান (১৮), আইয়ুব আলী (৫০), আনসার উল্ল্যাহ (১৮), আয়াত উল্ল্যাহ (২২), সামছু (৪৫), ইসলাম (২১), সামছু (৪০), ইসমাইল (৩৫), মোহাম্মদ হাসিম (৪০), নূর মোহাম্মদ (২১), সৈয়দ আমিন (৩০), সফি উল্ল্যাহ (৩০), আইয়ুব (৫০), মাহাতা আমিন (১৮)। আরও দুজনের নাম পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে অনেকে রোহিঙ্গা আছেন বলে জানা যায়।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওযার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, পাহাড়ে কাজ করার সময় ১৯ জন শ্রমিককে অপহরণের ঘটনায় ১৯ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন সন্ত্রাসীরা। ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে ফোন করে জনপ্রতি এক লাখ টাকা করে মোট ১৯ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।
অপহৃত সাইফুল ইসলামের বাবা জুহুর আলম বলেন, আমার ছেলেকে জীবিত পেতে হলে ১ লাখ টাকা দিতে বলেছে ডাকাত দল। রাতে ফোন করে এসব টাকা দাবি করা হয়েছে। আমি এত টাকা কোথায় পাবো!
একই কথা জানান অপহরণের শিকার আনসার উল্লাহ ও আয়াত উল্লাহর মা খতিজা বেগম। আমার ছেলেকে বেশি মারধর করছে ডাকাত দল। আমি আমার ছেলেকে জীবিত ফেরত চাই।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, অপহরণের শিকার বনবিভাগের ১৯ জন শ্রমিককে উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। গহিন পাহাড় হওয়ায় উদ্ধার অভিযান একটু কঠিন।
বনবিভাগের টেকনাফের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, আমাদের বনবিভাগের ১৯ জন শ্রমিক অপহরণের শিকারের ঘটনায় আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপহরণের শিকার হওয়া কয়েকজনের পরিবার জানান তাদের ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেছে সন্ত্রাসীরা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, শ্রমিকদের অপহরণের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। ইনশাআল্লাহ দ্রুত সময়ে সফলতা আসবে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার (৩১ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফ হোয়াইক্ষ্যং-শামলাপুর সড়ক অবরোধ করে আরও ৭ কৃষককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে।