শিশুটি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের রাঙ্গাঝিরি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলামের।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল করিম স্বাক্ষরি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গত ৩০ জুলাই দিবাগত রাতে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের রাঙ্গাঝিরি এলাকায় সৌদি প্রবাসী জনৈক সাইফুল ইসলামের বাড়িতে পাঁচ-ছয়জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি হামলা চালান। এ সময় বাড়িতে সাইফুলের স্ত্রী শাহেদা বেগম তার ১১ বছর বয়সী কন্যাসন্তান এবং সাত বছর বয়সী ছেলেসন্তানকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। অপহরণকারীরা বাড়ির ঢেউটিনের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ছেলে সন্তানকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরের দিন অপহরণকারীরা ভিকটিমের মা শাহেদা বেগমের মোবাইলে ফোন করে সন্তানকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। শাহেদা বেগম বিষয়টি নাইক্ষ্যংছড়ি থামা-পুলিশকে জানান। জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছারের তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানা, কাগজীখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একাধিক আভিযানিক দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা শুরু করে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) পুলিশের আভিযানিক দল দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী দলের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এবং অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।