পটুয়াখালীতে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহরের ব্যবসায়ী শিবু লাল দাস (৬০) ও তার গাড়ি চালক মিরাজকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের এসপি কমপ্লেক্স ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরপর অসুস্থ দুজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে শিবু লাল দাসের উদ্ধারের খবরে মধ্যরাতে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ঠিকাদার গোলাম সরোয়ার বাদল মালিকানাধীন এসপি কমপ্লেক্স ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে বস্তার ভেতরে কিছু একটা নড়াচড়া করতে দেখেন এক ব্যক্তি।
পরে তিনি ভবন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও র্যাবের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তা খুলে শিবু লাল দাস ও তার গাড়ি চালক মিরাজকে শনাক্ত করে। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ যুগান্তরকে বলেন, অপহরণের পরই পটুয়াখালী জেলা পুলিশ চিরুনী অভিযান শুরু করে। জেলার প্রতিটি পয়েন্টে নিছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
পুলিশের সঙ্গে একযোগে র্যাব, সিআইডি ও গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করেছে। উদ্ধারকৃত শিবু লাল দাস ও তার গাড়ি চালক কিছুটা অসুস্থ বোধ করছেন। তাই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হয়ে উঠলে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে। এ সময় পটুয়াখালী র্যাব-৮ পটুয়াখালী কোম্পানী কমান্ডার মো. শহিদুল ইসলাম এবং অন্য সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসপি আরও বলেন, গত ১১ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৯টার দিকে অপহরণকারীরা উল্লেখিত ব্যক্তিদের অপহরণ করে পরিবারের কাছে ২০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আষছিল। কিন্তু ঘটনার পর পুলিশ, র্যাব, সিআইডি এবং গোয়েন্দা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতায় সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।