টি-টোয়েন্টি যুগের শুরু থেকেই এই ফরম্যাটে খুব বেশি বড় দল হয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের পর ক্ষুদ্রতম সংস্করণের বিশ্বকাপের মূল পর্বে জয়ের দেখাই পায়নি তারা। মূল পর্বের একটি জয় পেতে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। এরপর থেকে অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে সময়টা ভালোই কেটেছে বাংলাদেশের জন্য।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অবশ্য ভরাডুবি দেখতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু এই বছর থেকেই। মার্চে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। ঠিক এই দলটিই বিশ্বকাপ জয় করেছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। কিন্তু নিজের দেশে ইংলিশদের দাঁড়ানোর সুযোগও দেয়নি টাইগাররা।
এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা। সবমিলিয়ে একটিমাত্র ম্যাচ হারলেও চলতি বছর সিরিজ বিবেচনায় টি-টিয়েন্টি ফরম্যাটে অপরাজিত এক দল বাংলাদেশ। আজ বুধবার থেকে নিউজিল্যান্ডে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজেও সেই ধারাকে ধরে রাখতে চায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
অবশ্য এই তিন সিরিজের সবই ছিল ঘরের মাঠে। তিনটি সিরিজের সবখানেই জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এবার নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলতে হবে টাইগারদের। পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজকে বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বকাপের আগে হাতে থাকা ১১ ম্যাচ দিয়েই নিজেদের প্রস্তুতি সেরে নিতে চান কোচ হাথুরুসিংহে।
এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৯টি টি-টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সবকটিতেই হেরেছে টাইগাররা। তবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইতোমধ্যে টেস্ট ও ওয়ানডেতে হারের বৃত্ত ভাঙ্গতে সক্ষম হওয়ায় এবার টি-টোয়েন্টিতে জয়ের ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে হারের বৃত্ত ভেঙ্গেছে টাইগাররা।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্সে আমরা খুশি। এই সিরিজে ভালো খেলছে তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা নিউজিল্যান্ডে হারের বৃত্ত ভাঙ্গার চেষ্টা করছিলাম। গত বছর সেখানে আমরা একটি টেস্ট জিতেছি এবং এখন আমরা ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছি। আশা করি, এই জয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করার জন্য খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস করবে।’