গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রথমবারের মতো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা (একনেক) করেছে। সেখানে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিকেরে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
আজ অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- শিল্প ও শক্তি বিভাগের বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প (১ম সংশোধিত), ২টি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং ২টি অনুসন্ধান কূপ (সুন্দরপুর সাউথ-১ ও জামালপুর-১) খনন প্রকল্প, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত) তথ্য আপা নামক প্রকল্প এবং কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ১০০ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫৮ কোটি ১৬ লাখ পাওয়া যাবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুটি সংশোধিত এবং দুটি নতুন প্রকল্প রয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, কিছু প্রকল্প অনেক দিন ধরে ঝুলে আছে, সেগুলো দেখা হবে। নিরপেক্ষভাবে অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য নতুন প্রকল্পই একনেকে অনুমোদন পাবে।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, চলমান প্রকল্প কোন পর্যায়ে আছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করতে চান উপদেষ্টারা। বৈদেশিক সাহায্য পুষ্ট প্রকল্প একনেকে পাস করা হবে। তারপর সেগুলো নজরে রাখবে। বিদেশি অর্থের পরিপূর্ণ ব্যবহার করা হবে।