আলোচনায় উপস্থাপন করা হয় ‘জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান নীতিমালা’ পরিবর্তন করে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ অর্থায়ন নীতিমালা’ প্রণয়নের প্রস্তাবিত খসড়া। প্রস্তাবনায় অনুদান ও প্রণোদনা—এই দুই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আধুনিক, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থায়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হয়। অনুদান নির্ধারিত হবে শিল্পমানসম্পন্ন স্বাধীন নির্মাণের জন্য, আর প্রণোদনা দেওয়া হবে বাণিজ্যিক নির্মাণে।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিনের অনুদান প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য বড় সংকট তৈরি করেছে। তাই শুধু অনুদান নয়, প্রণোদনা বা গ্যাপ ফাইন্যান্সিং চালু করা জরুরি। রোডম্যাপে অর্থায়নের সংখ্যা বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রক্রিয়া, কার্যকর আপিল ব্যবস্থা, প্রদর্শন ও পুনর্বিনিয়োগের মতো দিকগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র সংস্কার রোডম্যাপের কমিউনিকেশন উইংয়ের আরিফ সনেট বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবিত রোডম্যাপ কেবল অনুদান সংস্কারে সীমাবদ্ধ নয়, এটি চলচ্চিত্রশিল্পের সামগ্রিক পুনর্গঠনের রূপরেখা।’
নির্মাতা আকরাম খান বলেন, ‘জুরি বোর্ডে চলচ্চিত্র সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি। দ্রুত পরিবর্তন না এলে এ বছরেও একই সমস্যার মুখে পড়বে অনুদান প্রক্রিয়া।’