টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ ও পাসপোর্ট সেবা প্রদানে ঘুষ লেনদেনের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সংস্থাটির (জনসংযোগ) কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই কর্মকর্তা জানান, গতকাল টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে পৃথক এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযান পরিচালনা করেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও পরিদর্শনকালে দেখা যায়, খালের জমি দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শত শত স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এসএ ও বিএস রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, এসএ জরিপের ১নং খতিয়ানভুক্ত জমি অসাধু উপায়ে বিএস জরিপে নিজের নামে লিপিবদ্ধ করেছেন। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সীমানা নির্ধারণ করে উচ্ছেদ অভিযান প্রক্রিয়া শুরুর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং পৌর মেয়রকে খাস জমিতে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন না দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা শেষে এনফোর্সমেন্ট টিম বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে জানা গেছে।
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে এনফোর্সমেন্ট টিম পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পরিদর্শন করে ও আগত সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। অভিযানে বিভিন্ন রুম থেকে দালাল/কম্পিউটার দোকান থেকে প্রতিদিনের আগত আবেদনপত্রের হিসাবরক্ষণ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নোটবুক ও কম্পিউটারের দোকানে ব্যবহার করা বিশেষ সিল উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অফিস সহায়ক, সহকারী হিসাবরক্ষক এবং উপসহকারী পরিচালকের মোবাইলের মেসেজ চেক করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায় বলে জানা গেছে।