এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুরের তিনটি এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের হামলা ও ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে দিনভর উত্তপ্ত ছিল নগরীর কয়েকটি এলাকা। এ সময় শ্রমিকরা তুসুকা নামের একটি পোষাক তৈরি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এছাড়া কারখানার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা পুলিশের তিনটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন শ্রমিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ২২টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে তিনটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে কোনাবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তুসুকা কারখানার সামনে সাঁটানো হয়েছে একটি বন্ধের নোটিশ। এ বিষয়ে কারখানার মহাব্যবস্থাপক মাসুম হোসেন জানান, পরবর্তীতে কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে কারখানা খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে শ্রমিকদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়া কোনাবাড়ী আমবাগ রোডের এমএম নিটওয়্যার লিমিটেড ও কোনাবাড়ী জরুন এলাকার ইসলাম গ্রুপের কারখানার এক নারী শ্রমিক আহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ওই গ্রুপের তিনটি কারখানার সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গাজীপুর শিল্পপুলিশ জোন-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহমেদ জানান, কোনাবাড়ী ও আশপাশের এলাকার ২২টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করার খবর তাদের কাছে রয়েছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, আজ শুক্রবার (বেলা ১২টা পর্যন্ত) গাজীপুরে কোথাও শ্রমিক আন্দোলনের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের কাছে এখনো ১৩/১৪টি কারখানা বন্ধের খবর আছে। কয়েকটি আবার দুপুরের পর উৎপাদনে যাবে বলে শুনেছি।