এসএসসি-এইচএসসিসহ পাবলিক পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া যায় কি-না এর জন্য আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, অনলাইনে সর্বোচ্চ এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব; কিন্তু রচনামূলক সম্ভব না। আমরা আরও বৈঠক করে বিকল্প উপায়ে পড়ালেখা চালুর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরামর্শ পাঠাব।
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও সরাসরি ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে অটোপাস দেওয়া হয়। এবারও পরিস্থিতি খারাপের দিকে রয়েছে। এমন অবস্থায় এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে এবার আর কোনো অটোপাস দেওয়ার চিন্তা নেই সরকারের। এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ক্লাস করিয়েই পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে শিক্ষা প্রশাসন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আমরা চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ক্লাস করিয়েই নিতে চাই। সে লক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে আজকের সিদ্ধান্ত হয়তো কাল বদলাতে হচ্ছে। ফলে কবে পরীক্ষা নিতে পারব, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির দিকেই আমরা তাকিয়ে আছি।
জানা গেছে, এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাসহ সব শ্রেণির ক্লাস-পরীক্ষা নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফলে বিকল্প উপায় খুঁজতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করবেন।
নেহাল আহমেদ বলেন, আমরা দুটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছি। অন্যান্য দেশে কী উপায়ে পড়ালেখা চলছে, কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তা পর্যালোচনা করছি। কোনো দেশই করোনার সময়ে সরাসরি পাবলিক পরীক্ষা নেয়নি। অনলাইনে সর্বোচ্চ এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব; কিন্তু রচনামূলক সম্ভব না। আমরা আরও বৈঠক করে বিকল্প উপায়ে পড়ালেখা চালুর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরামর্শ পাঠাব।
শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে, গত ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্মদিবসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করা হয়েছিল। এ ক্লাস করিয়ে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে দুটি পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে ২২ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোয় ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।