বলিউড ও পরকীয়ার মধ্যে একধরনের যোগসূত্র আছে। অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে শাহরুখ খান— সব তারকা একটু আধটু পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। সেই তালিকায় আছে অজয় দেবগণেরও নাম।
অথচ বলিউডের অন্যতম আদর্শ দম্পতি হিসেবে সুনাম রয়েছে অজয়-কাজলের। তাদেরকে বলা হয় আইকনিক দম্পতি। তবে পরকীয়ার গুঞ্জনও ছাড় দেয়নি অজয়কে। তবে তা বেশিদূর এগোয়নি। খবরটি কানে যেতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কাজল যার ফলে পরকীয়ার ভূত ছুটে পালিয়েছিল অজয়ের মাথা থেকে।
অজয় তখন ‘ওয়ানস আপন অ্যা টাইম ইন মুম্বাই’ সিনেমার শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। তার জীবনে পরকীয়ার ঝড় উঠেছিল তখনই। শোনা যায়, ওই সময় একে অন্যের সঙ্গে গোপনে ডেটও করতেন অজয়-কঙ্গনা। তবে অন্যান্য পরকীয়ার মতো তাদের পরকীয়াও শেষ পর্যন্ত চাপা থাকেনি। তাদের পরকীয়ার জল এতদূর গড়িয়েছিল যে, তা ভুগিয়েছিল অজয়ের স্ত্রী কাজলকেও।
তবে মুখ বুজে সহ্য করেননি কাজল। সোজা অজয়কে হুমকি দিয়ে বসেন। স্পষ্ট করে অজয়কে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আমি কিন্তু সংসার ছেড়ে চলে যাব’। স্ত্রীর হুমকিতে রীতিমতো সোজা হয়ে যান অজয়। আর পা বাড়াননি অবৈধ সম্পর্কে।
তবে অজয় এর দায় চাপিয়েছিলেন মিডিয়ার ওপর। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বলছি না যে, পরকীয়া হয় না। পরকীয়া নিঃসন্দেহে হয়। কিন্তু তার আগেই তিলকে তাল বানিয়ে ফেলে মিডিয়া। দু’জন মানুষকে একসঙ্গে দেখলেই তারা তা এমনভাবে প্রচার করতে থাকে, যা ব্যক্তিজীবনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে দু-দণ্ড বসে মানসিক শান্তি পাওয়ার জায়গাটিও আর অক্ষত থাকে না।’