দুর্ঘটনায় কারো কোনো জবাবদিহিতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, একটার পর একটা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। সবার জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। সরকার এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতা ক্রমান্বয়ে চলছে।
বুধবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের রাজধানীর বঙ্গবাজার পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, এবছরে আরও কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কি কারণে ঘটেছে এবং সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা কেউ জানে না। এমন ঘটনা যেনো আর না ঘটে সেজন্য সরকারের কি করা উচিত ছিল? কি করা হয়নি? তা কেউ জানে না। মনে হচ্ছে কারো জবাবদিহিতা নেই। যার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই দেশ চালাচ্ছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতর আছে। সবারই আলাদাভাবে দায়-দায়িত্ব আছে। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের প্রধান কাজ। তাই রিক্সাওয়ালা থেকে শ্রমিক ও মজুরও ট্যাক্স দিয়ে সরকারকে প্রতিপালন করছে। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সে সরকার চলে কিন্তু তাদের সুখ-দুঃখ বোঝে না। দুর্ঘটনা যেনো নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত না হয়। এছর মার্চে ৩টি এবং এপ্রিল ১টি দুর্ঘটনা, এছাড়া গ্রামে-গঞ্জে প্রতিনিয়িত অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটছেই।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুন। বিনা সুদে বা স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ব্যবসায় ফেরাতে হবে। অস্থায়ীভাবে একটি মার্কেট তৈরি করে দেয়া হোক, যাতে ঈদের আগে কিছু বেচাকেনা করতে পারে তারা। যাতে তারা কিছুটা হলেও ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে এবং বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে পারে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সংসদে ব্যবসায়ীদের কষ্টের কথা তুলে ধরব। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আমরা সব সময় কাজ করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ।