হিথ স্ট্রিক একটা সময় বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ ছিলেন। খেলেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও। বলতে গেলে ঘরের ছেলেই হয়ে গিয়েছিলেন। তার নামের সঙ্গে এমন কলঙ্ক জড়িয়ে যাওয়ার খবরে তাই অবাক বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরাও।
ক্রিকেট দুর্নীতিতে জড়িয়ে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক। আইসিসির দুর্নীতি বিষয়ক পাঁচটি ধারা ভঙ্গ করেছেন স্ট্রিক। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ, একই বছরের জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ, আইপিএল এবং আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের তথ্য বাইরে পাচারের মতো অপরাধ।
আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিটিকে জুয়ারির প্রস্তাবের বিষয়ে না জানানো, তদন্ত কাজে অসহযোগিতা, জুয়ারির কাছ থেকে কোনো উপঢৌকন নিয়ে বিনিময়ে তথ্য দেয়াসহ স্ট্রিকের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে আইসিসি। ২০১৭ সালের বিপিএল, ২০১৮ সালের পাকিস্তান সুপার লিগ, ২০১৮ সালের আইপিএল এবং এপিএলে জুয়ারির এসব প্রস্তাব পেয়েও গোপন অথবা তাদের সহযোগিতা করেন স্ট্রিক।
জালাল ইউনুস জানান, বিসিবি বিব্রত নয়। তবে হতাশ। বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘হিথ স্ট্রিকের মতো একজন বড়মাপের ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব এমন ঘৃণিত ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে হতে পারেন, এটা অপ্রত্যাশিত। বেশ হতাশার ব্যাপার।’
তবে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলিং কোচ থাকা স্ট্রিকের সঙ্গে সম্পর্ক চুকে গেছে অনেকদিন আগেই, সেটাও মনে করিয়ে দিলেন জালাল। তিনি বলেন, ‘আমাদের সাথে তার চুক্তি তো শেষ হয়েছে আরও ৪-৫ বছর আগে। কাজেই এটা নিয়ে বিসিবির তেমন মাথাব্যথা নেই। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে হতাশ। সে তো আমাদের ঢাকা লিগে আবাহনীর হয়েও খেলেছে।’
