স্ত্রীকে হত্যা করে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর নাটক সাজাতে গিয়ে শেষ রক্ষা হলো না সাকিবুল আলম মিশুর। অবশেষে পুলিশ তাকে আটক করেছে। স্ত্রীর লাশ প্রাইভেটকারে তুলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান মিশু। হাসপাতালে গিয়ে মিশু জানান, হাতিরঝিল আমবাগান এলাকায় রাস্তায় আইল্যান্ডের উপর গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিলে তিনি ডান হাতে সামান্য আঘাত পান এবং গাড়িতে থাকা তার স্ত্রী ঝিলিক আলম (২৩) গুরুতর আহত হন। তার তিনি স্ত্রীকে ঢামেক হাসপাতাল নিয়ে আসেন। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বেলা সোয়া ১১টায় ঝিলিককে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের কাছে বিষয়টি সন্দেহ হলে মিশুকে আটক করে। পরে গুলশান-২ নম্বর সড়কের ৩৬ নম্বর রোডের বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, চারজন ব্যক্তি ওই নারীকে বাসার সিড়ি থেকে চ্যাং দোলা করে বের করছেন। ঝিলিকের মায়ের অভিযোগ- ঝিলিক ও মিশু ভালোবেসে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন। প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করা হতো। তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ওই নারীর স্বামীর আচরণ রহস্যজনক মনে হওয়ায় তাকে জেরা করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার বাসা গুলশানে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই বাছাই করে দেখা যায়, ঝিলিককে বাসা থেকেই অচেতন অবস্থায় বের করা হয়। এরপর স্বামী সাকিবুল আলম মিশুকে আটক করে হাতিরঝিল থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম রয়েছে। নিহত ঝিলিকের দেবর ফাহিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঝিলিকের বাসাতেই মৃত্যু হয়েছে। তবে তার ভাই কেন দুর্ঘটনার কথা বলেছেন, তা তার জানা নেই।