চীন বর্তমানে “কাউন্টারস্পেস অস্ত্র” তৈরিতে কাজ করছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান গুলির সেন্সরের চোখ ফাঁকি দিয়ে সরাসরি লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সম্প্রতি ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের কার্যালয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে চীনা সামরিক বাহিনীর বিশদ প্রচেষ্টায় দেশটি কাউন্টারস্পেস অস্ত্র তৈরি করছে তাতে সামনের বছর গুলিতে বর্তমান মার্কিন প্রযুক্তির চেয়ে চীন অনেকাংশেই এগিয়ে থাকবে।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গোপন সামরিক স্থাপনায় সুপারকম্পিউটারের সাহায্যে দ্রুতগতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের কাজ করা হয়। সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা ও পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ স্থাপনা থেকেই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের যেসব হিসাব-নিকাশ করা হয়, তা হয়তো একদিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে।
বেইজিংয়ের “কাউন্টারস্পেস অস্ত্র ক্ষমতা রয়েছে” যা তাদের দেশকে “সামরিক, অর্থনৈতিক এবং সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে যাবে এবং এর থেকে বেশ কিছু সুবিধা নিতে পারবে। হাইপারসনিক সমরাস্ত্র নিয়ে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগের বিষয়টি পেন্টাগনের জন্য এখন বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। পেন্টাগনের কর্মকর্তা মার্ক জে লুইস বলেন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে নির্ভরযোগ্যভাবে দেখার জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে তা মহাশূন্য থেকে পর্যবেক্ষণ করা। এটি চ্যালেঞ্জের।
এদিকে ওয়াশিংটন পোস্ট’ বলছে, চীনের দ্রুতগতির বা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার স্থাপনাটি চায়না অ্যারো ডায়নামিকস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে (সিএআরডিসি) অবস্থিত। এর সঙ্গেও পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগসূত্র রয়েছে। তবে তা পরিষ্কার নয়। তবে বিশ্লেষকেরা ধারণা করেন, এটি পরিচালনায় রয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মির একজন মেজর জেনারেল। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিশ্লেষকদের কেউই নাম প্রকাশ করতে চাননি। দি সান।