ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনি মাঠ। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে এ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাকিতায় উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে শনিবার (২১ মার্চ) রাতভর সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইউনিয়ন জুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার রাতে চাচড়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবু তাহের ও বিদ্রোহী প্রার্থী হান্নান সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন হান্নান জানায়, নৌকার সমর্থকরা মিছিল করে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। বাসা বাড়িতে হামলা চালায়। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমর্থকরা জানায়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচার কালে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ হোসেন হান্নান গ্রুপের সমর্থরা নৌকার মিছিলের ওপর হামলা করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী গ্রুপের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে ২৫ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা ১০টি বসতঘর ও ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর চালায়। এতে পুরো এলাকায আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়াও রবিবার (২২ মার্চ) সকালে চাচরা ইউনিয়নের মঙ্গলসিকদার উওর মাথা ও চাচরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। চাচরা ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও চাচরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে। উভয় পক্ষের হেলমেট বাহিনী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দিচ্ছে।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জিয়াউল হক বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।