চলমান লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলবে কি না, এ বিষয়ে সরকার রোববার (২৫ এপ্রিল) সিদ্ধান্ত জানাবে বলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) তিনি বলেন, আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ব্যবসায়ীরা ২২ এপ্রিল থেকে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। সেদিন ব্যবসায়ীরা বলেন, সারাদেশে ৫৩ লাখের বেশি দোকানদার রয়েছেন। এই দোকানগুলোর মাধ্যমে দুই কোটি ১৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করেন। এই মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা উচিত।
লিখিত বক্তব্যে ওইদিন মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত আমরা ক্ষুদ্র পুঁজির ব্যবসায়ীরা মেনে নিয়েছিলাম। তবে আমরা দেখলাম, এর মধ্যেও তৈরি পোশাকসহ সব শিল্পকারখানা চালুর রাখার সিদ্ধান্ত দিল সরকার। ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খোলা। সড়কে চলাচলের জন্য পুলিশ লাখ লাখ মুভমেন্ট পাস ইস্যু করল। খোলা থাকল কাঁচাবাজার। নির্মাণকাজও চলছে। প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটও চালু হলো। আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, শুধু দোকানপাট ও বিপণিবিতানের সঙ্গে আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ রাখা হলো।
কাঁচাবাজার, জনসমাবেশ, পর্যটন এলাকা ও ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে করোনা বেশি ছড়ায় উল্লেখ করে সেদিন হেলাল উদ্দিন বলেন, কোথাও বলা হয়নি, দোকানপাট ও বিপণিবিতান থেকে এই মহামারি ছড়ায়। তাহলে কোন অপরাধে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়লা বৈশাখ ও ঈদের আগে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে তাঁদের পুঁজি বিনষ্ট করা হলো। বর্তমান অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লোকসানে দিশেহারা হয়ে আত্মাহুতির মতো পথ বেছে নেওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের অর্ধেক অর্থাৎ ৪৮ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ হিসেবে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।